Saturday, July 13, 2013

এখনই ভাঙতে হবে ঘুম

আমাদের ভারতবর্ষ গনতান্ত্রিক।যেখানে সকলের অধিকার সমান। তাই সকলের উচিত সবাইকে সম্মান করা। কিন্ত্ত ভারতবর্ষ যেন অন্যরকম। এক অদ্ভুত আঁধার যেন গোটা দেশ টাকে গ্রাস করে নিয়েছে।শুধুই দেখা যায় চারিদিকে দৈত্যমানব। যাদের আকৃতি মানুষের মতোই কিন্ত্ত ব্যবহার দৈত্য-দানবের মতো। তারা যে মানুষ নয় মানব শব্দটা তাদের জন্য নয়।শুধু আকৃতিটাই মানুষের মতো।কিন্ত্ত মানবতা তাদের মধ্যে নেই লুপ্ত হয়ে গেছে। তারা শুধু নিজের লালসা পূরণ করতে জানে। এক লালসাগ্রস্থ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে গোটা দেশটির দিকে। যার জন্য আমাদের দেশের জনসাধারণ বিশেষ করে নারীরা নিজেদের দেশকে গনতান্ত্রিক ভারতবর্ষ বলে ভাবতে পারছে না। বাড়ির বাইরের রাস্তাটাকেও তারা বিদেশ ভাবছে। জানা নেই কখন কী ঘটবে! স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। আর তাদের রাস্তাঘাটে শুধু অপমানিত হতে হচ্ছে। কিছু পুরুষ যারা আসলেতে পুরুষ নয়, তারা নিজের ক্ষমতা দেখাবার জন্য অবমানবিক কাজ করেতা মোটেই পুরুষের কাজ নয়।তারা ভুলে গেছে যে তারা যাদের পথেঘাটে অপমানিত করছে তারা স্ত্রীজাতি ।আমরা যে বিদ্যাকে যোগ্যতার মাপকাঠি ভাবি সেই বিদ্যার দেবী ও একজন মহিলা।ভারতবর্ষে যুদ্ধ - আন্দোলন চলাকালীন দেশে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনিও একজন মহিলা যাকে আমরা মা বলি। নবেল জয়ী মাদার টেরেসা।যে স্ত্রীজাতিকে তারা অপমান করছে আমাদের মা বোন সেই স্ত্রীজাতিরই একজন। মা আমাদের জন্মদাতা স্ত্রীজাতির অপমান মানে আমাদের মা বোনকে অপমান করা।যারা স্ত্রীজাতির উপর নিজের পৌরুষত্ব শক্তি দেখাচ্ছে, যে অবমানবিক, জঘন্য, নরপিশাচের কাজ করছে তারা তাদের মা বোনকেই অপমানিত করছে জানি না তাদের মানবিকতা কোথায় লোপ পেয়েছে।তারা এত ভয়ঙ্কর নরপিশাচ কীভাবে হয়ে উঠেছে! যে শিশুর হাঁসি দেখলে আমরা সমস্ত গ্লানি, দুঃখ, কষ্ট ভুলে যাই তারা সেই শিশুদেরকেও ছাড়েনি। তাদের সততা, অবোঝ মনের সুযোগ নিয়ে তাদের উপরও নিজের লালসা, অবমানবিক বাসনা পূর্ণ করছে। আমরা যে শিশুর মুখে সবসময় হাঁসি দেখতে চাই , সবসময় খুশি রাখতে চাই তাদের সাথেওএরকম কীভাবে করতে পারে! তাদের সত্ , অবাঝ মনের সাথে এরূপ কী করে করতে পারে! তাদেরকে মানুষ ত দূরের কথা পশুদের সাথে তুলনা করা ভুল হবে। তারা এক মানবরূপী দৈত্য-দানব।কিন্ত্ত আমরা বাকি জনসাধারণ যেন ঘুমন্ত অবস্থায়। হঠাত্ নিদ্রাভঙ্গ হলে কিছুক্ষণের জন্য মানবতা জাগে কিন্ত্ত কিছুদিন পর সেই মানবতা আবার ঘুমিয়ে পরে।কিছুতেই এই মানবতাকে জাগিয়ে রাখতে পারছে না হঠাত্ হঠাত্ মানবতা জেগে উঠে কিন্ত্ত তা ক্ষণস্থায়ী।এই দেশে যে অন্ধকার নেমে এসেছে তা কিছুতেই দূর করতে পারছে না।তাই রোজ রোজ নারীদের রাস্তাঘাটে, সরকারি দপ্তরে, স্কুলে, কলেজে যাতায়াত করতে সবক্ষাণেই অপমানিত হতে হচ্ছে। কারণ তাদের কাছে তেমন শক্তি নেই যে এই শক্তিশালী নরপিশাচের সাথে লড়াই করবে। আর তাদের মধ্যে মুষ্টিমেয় কয়েকজন যদি লড়াই করে তাদেরও অনেক দূর পর্যন্ত একাই লড়াই করতে হচ্ছে আর তখনও তাদের অপমানিত হতে হচ্ছে কিন্ত্ত তবুও তারা হার না মেনে বার বার অপমানিত হয়েও লড়াই করে যাচ্ছে।এখনও লড়াই করে যাচ্ছে। তাদের আর লড়াই করার শেষ নেই।কিন্ত্ত এই এত বড় লড়াইর মধ্যে প্রায় অনেকে এখনও ঘুমিয়ে। তাদের যেন নিদ্রা ভাঙছে না।কবে ভাঙবে তারও ঠিক নেই। কিন্ত্ত শীঘ্রই ভাঙতে হবে।এখনই ভাঙতে হবে। নইলে যে এই গোটা দেশটাকেই যে ওই নরপিশাচরা গ্রাস করে নেবে।

যে কোন মোবাইল সেটেই এবার থেকে বাংলা লিখুন

আপনার মোবাইলে বাংলা না থাকলেও আপনাকে এখন নিরাশ হতে হবে না কারণ আপনার যে কোন মোবাইল হোক না কেন আপনি এখন থেকে আন্তর্জালে বাংলা ব্যবহার করতে পারবেন।মোবাইলে বাংলা পড়তে বা দেখতে পারবেন, এজন্য আপনাকে অবশ্যই মোবাইলে অপেরা মিনি ব্রাউজারটি ব্যাবহার করতে হবে। অপেরা মিনি ব্রাউজার দিয়ে মোবাইলে বাংলা পড়ার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করুনঃ ১।সর্বপ্রথমে অপেরা মিনি না থাকলে এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন। ২।তারপর অপেরা মিনি খুলে এড্রেস বার যেটাকে ইউ আর এল বার ও বলা হয় সেটাতে গিয়ে opera:config ক্লিক করে কনফিগ পেজটি লোড করুন। আপনি যদি অপেরা মিনি ৬ ইউজ করে থাকেন তাহলে শুধু config: লিখে কনফিগ পেজটি লোড করুন। ৩। কনফিগ পেজটি খুলার পর একদম নিচের সেটিংস"use bitmap for complex scripts" টি yes/no বক্স থেকে "yes" সিলেক্ট করুন। ৪। এখন কনফিগারেশন সেটিংস টি সেভ করুন। এখন থেকে আপনি মোবাইল থেকে অপেরা মিনিবাউজার দিয়ে বাংলা পড়তে পারবেন কিন্ত্ত শুধু অপেরা মিনি দিয়েই পারবেন বাংলা পড়তে। ** অবশ্যই মনে রাখবেন এভাবে বাংলা আপনার মোবাইলে bitmap image আকারে লোড হবে, এর ফলে আপনার ব্রাউজার স্বাভাবিক ইংরেজি টেক্সট এর চাইতে বাংলা দেখানোর জন্য বেশি ডাটা ইউজ করবে। মোবাইল দিয়ে বাংলা লেখার জন্য নিম্নলিখিত প্রদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন:- আপনার সিমবিয়ান সেটে বাংলা লিখা এবং দেখার জন্য: প্রথমে সোলেমানলিপি ডাউনলোড করুন এখান থেকে http://­download4mobi.com /­solaiman-lipiএখন আপনাকে আপনার মোবাইলের ফন্ট ব্যবহারের কিছু কোড জানতে হবে, এটা জানার জন্য আপনার মোবাইলে কোন ফাইল ব্রাউজার দিয়ে সেগুলো বের করতে হবে, নকিয়ার ইনবিল্ড ব্রাউজার দিয়ে এটা করা যায় না। আপনি Y!browser নামিয়ে নিতে পারেন http://­download4mobi.com /­x-plore-file-managerএরপর xplore এ ঢুকুন।এখানে (C, D, E, Y, Z) ড্রাইভ দেখতেপাবেন, Z ড্রাইভে ঢুকুন > resource > Fonts > এখানে আপনি .ttf এক্সটেনশনের ৪টি ফন্ট দেখতে পাবেন, এই নামগুলো লিখে ফেলুন কেননা এই নাম দিয়েই আপনার ফন্টটিকে মোবাইলে সেভ করতে হবে । এবার আপনি পিসিতে সোলেমানলিপি ফন্টের চারটি কপি করে ঐ চার নামে আলাদা চারটি ফন্ট হিসেবে রিনেম করে নিন। আপনার মোবাইলটিকে ডাটাকেবল দিয়ে পিসির সাথে যুক্ত করুন অথবা মেমরি কার্ড রিডারের মাধ্যমে মেমোরি কার্ডটি পিসিতে সংযুক্ত করুন। মেমরি কার্ডে আপনি resource নামের একটি ফোল্ডার পাবেন (না পেলে হিডেন শোয়িং অন করে নিন), সেখানে Fonts নামের একটি নতুন ফোল্ডার তৈরি করুন। এই ফোল্ডারে আপনার পিসিতে আগে থেকেই তৈরি করা চারটি ফন্ট কপি করে পেস্ট করুন। এবার মেমোরি কার্ডটি মোবাইলে লাগিয়ে অথবা ডাটা কেবল সরিয়ে আপনার মোবাইলটি অফ করে অন করুন। এখন আপনার ফন্টটি পরিবর্তন হয়ে গেছে, এভাবে বাংলা ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ কিছু টিপস:*অপেরা মিনিতে ব্যবহারের সময়ে অপেরার ফন্টটি (Large বা Extra large) করে নিতে হবে। *মোবাইলে ব্যবহারের সময়ে মোবাইলের ফন্টটি লার্জ করে নিলে দেখতে সমস্যা কম হয় (বড় স্ক্রীণের মোবাইলে সোলেমান লিপি ফন্টটি ব্যবহারে সমস্যা কম হয়, কিন্তু যদি ছোট স্ক্রীনের হয়,তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে)। {menu > Tools > settings > General > Personalisation > Display> Font Size> Large} এবার বাংলা লিখার জন্য ডাউনলোড করুন http://joybd.com/­opera- mini-bangla-wri­teable/ ওয়েবসাইটে বাংলা কি ম্যাপিং আছে । সেটি ফলো করে এখন আপনি বাংলা লিখতেও পারবেন। সিম্বিয়ান মোবাইলের জন্য যেসব লিংক কাজ করছে না , সেগুলোর বিকল্প লিংকঃ সোলেমানলিপি ফন্টের জন্যhttp://­www.omicronl ... সমস্ত শুভেচ্ছা রইল। উপভোগ করুন বাংলাভাষা আপনার মোবাইলে।

বর্তমান ভারত

ভারত উন্নতশীল দেশ।বর্তমান ভারত অনেক এগিয়ে গেছে। প্রযুক্তির দিক দিয়েও অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু এই উন্নতি সঠিক অর্থে উন্নতি কি? এখনও ভারতে দরিদ্রের সংখ্যা পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ। এখনও ৪০ কোটি মানুষ রাতে না খেয়ে ঘুমাচ্ছে। কিছু মুষ্টিমেয় লোকের ধনবৃদ্ধি মানে ভারতের ধনবৃদ্ধি নয়। নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার মানে ভারতের উন্নতি নয়। এই দরিদ্রতা যতদিন পর্যন্ত দূর হচ্ছে না, ভারতকে সঠিক অর্থে উন্নতশীল দেশ বলা যাবে না। বর্তমান ভারত নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারই কিছু সমস্যার বিষয়ে নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ ১. দরিদ্রতাঃ- দরিদ্রতার দিক দিয়ে ভারতের স্থান তৃতীয়। পৃথীবির ৩৩%দরিদ্রের বাস ভারতে।UNICEF এর মতেভারত ৪২%শিশু যাদের বয়স ৫ বছরের কম তারা পরিপুষ্টির অভাবে ভুগছে। তাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত কম। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সভাপতি জিম ইয়ঙ্গ বলেছেন অন্যান্য দেশে দ্রুত গতিতে হ্রাস পেলেও ভারতে তা নুন্যতম। এই দরিদ্রতার প্রধান কারণ হল দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারতের স্থান দ্বিতীয়।UNCEUS (National Commission for Enterprise in the Unrecognized Sector)এর মতে ৭৭% ভারতীয়ের আয় দিনপ্রতি ২০ টাকারওকম। বিহার, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ,পশ্চিম বঙ্গে দরিদ্রতার হার সবচেয়ে বেশি। যতদিন পর্যন্ত এই দরিদ্রতা হ্রাস না পাবে আমরা ভারতকে উন্নত বলতে পারি না। তাই আমাদের ভারতে উন্নত বলতে পারি না। তাই আমাদের এবং ভারত সরকারের প্রয়োজন দ্ররিদ্রতা হ্রাস করার জন্য ফলপ্রসূ পদ্ধতি অবলম্বন করা। ২. শিশুশ্রমঃ- বর্তমান ভারতে শিশুশ্রম অন্যতম একটি প্রধান সমস্যা। দিন দিন শিশুশ্রমের হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যেখানে উচিত শিশুরা বিদ্যালয়ে যাবে, পড়াশুনা, খেলাধুলা করবে সেখানে ঠিক বিপরীত ঘটছে। অনেক অনেক বড়ো উদ্যগগুলোতে লোকিয়ে বাঁচিয়ে হলেও সেখানেই শিশুশ্রম বেশি হচ্চে। আজকাল চায়ের দোকানে নায্যমূল্যের দোকানে প্রকাশ্যেই হচ্ছে। কিন্তুতাতে সাধারণ জনসাধারণ এবং সরকারের টনক নড়ছে না। এমনকি শিক্ষিত জনসাধারণও এই শিশুদের দিয়ে ওনেক শিক্ষিত ঘর গুলোতে শিশুশ্রম হচ্ছে।The International Labour Organisation (ILO)২০০২ সাল থেকে ১২ জুনকে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধিতা দিবস হিসাবে ঘোষিত করলেও এখনও শিশুশ্রম ক্রমেই বেড়ে চলছে। এবছরের এই ১২ জুনেই হায়দরাবাদে একটি অলঙ্কারের দোকান থেকে ৬ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং এর পরের দিনই রাজকোট থেকে ১৪ জন শিশুকে একটি অলঙ্কারের কর্মক্ষেত্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যেব১২ জন শিশুই পশ্চিম বঙ্গের। রাজস্থানে সবচেয়ে বেশি শিশুশ্রম হচ্ছে। ১০ শতাংশ শিশুশ্রম এই রাজস্থানেই হচ্ছে। জয়পুরের ৫০,০০০ শিশুরা যাদের বয়স ৫-১৪ তারা শিশুশ্রমে লিপ্ত। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের পরেই এই রাজ্যের স্থান। তাই ভারত সরকারের প্রয়োজন উপযুক্ত পদ্ধতি গ্রহণ করা যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে ভারত মুক্তি পায়। এবং আমাদের সাধারণ জনসাধারণের প্রয়োজন এর দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা। ৩. নারী নির্যাতনঃ- বর্তমান ভারতে নারী নির্যাতন এক ভয়াবহ রূপ। যেখানে নারীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছে। নারীদের সম্মানরক্ষা এখন বিপদে। কিছু মানুষেরা যাদের আকৃতিটাই শুধু মানুষের মতো কিন্তু মানবতা তাদের মধ্যথেকে অনেক আগেই লুপ্ত হয়ে গেছে, তারা শুধু নিজের লালসা পূরণ করতে জানে। অকারণেই নিজের অবমানবিক বাসনা পূর্ণ করছে। তাদের মা-বোনও যে নারী তারা কবেই ভুলে গেছে। তারা কোনোদিনও নারীদের সম্মান করতে শিখেনি। যার ফলে নারীরা আত্মরক্ষার ওভাবে ভুগছে।NCRB (National Crime Record Bureau)এর মতে বর্তমান ভারতে প্রতি মিনিতে ২২ টি ধর্ষণজনিত ঘটনা থানায় নথিভুক্ত হচ্ছে। এই ধর্ষণজনিত ঘটনা দিনে দিনে কেবল বেড়েই চলেছে। ২০১০ এ এর সংখ্যা ছিল ১৪,২৬৩ এবং ২০১১ তে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,৪২৩। আজকাল এই শ্বপদরা শিশুদেরকেও ছাড়েনি। তারা শিশুদের সরল অবুঝ মনের সু্যোগ নিয়ে তাদের উপরও নিজের অবমানবিক বাসনা পুর্ণ করছে। শিশু নির্যাতন, শিশুদের যৌনপীড়ন আজকের সমাজে এক জলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । ২০০১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৪৮,৩৩৮ টি শিশুধর্ষণ জনিত ঘটনা থানায় নথুভুক্ত হয়েছে। আবার অনেক ঘটনা আছে যেগুলোথানায় নথিভুক্তই হচ্ছে না। আজকের ভারতে নারীদের বিভিন্ন সরকারি দফতরে, স্কুল-কলেজে, রাস্থাঘাটে যাতায়াত করতে গিয়ে অপমানিত হতে হচ্ছে। তাদের নানা প্রকারন্তরে নানাভাবে অপমানিত হতে হছে। আপরদিকে কিছু কিছু লোকের ধারণা যে মহিলাদের এরকম বিপত্তির জন্য নাকি মহিলারা নিজেই দায়ী তাদের পোষাক আশাকের জন্যে। কিন্তু একটি পোশাক কখোনই একটি নারির গঠন করে না। প্রয়োজন সেইসব লোকের ধারণার পরিবর্তন এবং সেই নরপিশাচদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করা। তাই নারীদের সম্মান রক্ষায় সারা দেশের জেগে উঠার সময় আসন্ন। বর্তমান ভারত এই সকল ভয়াবহ সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে যেমন বেকার সমস্যা, শিক্ষিতের হারের অভাব। তাই বর্তমান ভারত উন্নতিশীল হলেও তা অনুন্নতের সামিল।এখনও ভারত খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছে। তাই আমাদের সাধারণ জনসাধারণের প্রয়োজন ভারত সরকারকে দোষারোপ না করে এই সকল সমস্যা দূরীকরণে ভারত সরকারকে উপযুক্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তাহলেই ভারত উন্নতির পথে আরও প্রগতিশীল হবে এবং একটি সুস্থ এবং সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে উঠবে